মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। কুমিল্লা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে ১৯৯১, ১৯৯৬–এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬–এর ১২ জুন ও ২০০১ সালে টানা চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন, তিনি ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারে জন্মগ্রহণ করেন।
Table of Contents
মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী ১ জানুয়ারি ১৯৫০ সালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ন্যাপ প্রধান প্রয়াত অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদকে পরাজিত করে প্রিথম এমপি নির্বাচিত হন ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এর পর ১৯৯৬–এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬–এর ১২ জুন ও ২০০১ সালে সাল পর্যন্ত টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুন: