মুবিন চৌধুরী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

মুবিন চৌধুরী (জন্ম : ১৯৭৩ -মৃত্যু ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩) হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে ৩ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। এরমধ্যে দু’বার জাতীয় পার্টির হয়ে একবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে নির্বাচিত হন।

মুবিন চৌধুরী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মুবিন চৌধুরী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

রাজনৈতিক জীবন

মুবিন চৌধুরী ১৯৮৮, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে হবিগঞ্জ -৩ থেকে সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।  ২০০০ সালে, তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।  তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ এএমএস কিবরিয়ার কাছে হেরে যান। তিনি হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

রাজনীতির পরিবর্তন

মুবিন ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ওই বছর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম শাহ এ এস এম কিবরিয়ার কাছে অল্পভোটে হেরে যান। ২৫ এপ্রিল ২০০৫-এ হবিগঞ্জ -৩ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে তাকে মনোনিত করা হয়।

কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শাহ এ এম এস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর পর এ আসনে উপনির্বাচন হয়। মুবিন এতে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন।  তিনি উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে মোঃ আবু জহিরের কাছে পরাজিত হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

মৃত্যু

২০১৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে শায়েস্তানগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

 

মুবিন চৌধুরী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment