মুহিবুর রহমান মানিক (জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ২২৮ নং (সুনামগঞ্জ-৫) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ -সদস্য। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ- সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন।
Table of Contents
মুহিবুর রহমান মানিক । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
মুহিবুর -রহমান মানিক ১৯৬২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ কলন্দর আলী ও মাতা জাহানারা চৌধুরী।
জাতীয় সংসদ
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলা-দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০; যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ -সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ -সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।

সংসদ ভবন
বাংলা-দেশের জাতীয় সংসদ ভবন পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবনের একটি। রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। যেখানে মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে উন্মুক্ত সবুজ পরিসর, মনোরম জলাধার ও সংসদ -সদস্যদের কার্যালয়।
১৯৬১ সালে ৯ তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কান। সংসদ ভবন এলাকাকে প্রধান ভবন, দক্ষিণ প্লাজা ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা এই তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সংসদের পেছন দিকে ক্রিসেন্ট লেক নামে একটি নান্দনিক জলাধার রয়েছে।
আসন বিন্যাস
জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ -সদস্যদের আসন সংখ্যা ৩৫৪, অতিথি আসন সংখ্যা ৫৬, কর্মকর্তা আসন সংখ্যা ৪১, সাংবাদিক আসন সংখ্যা ৮০ এবং দর্শক আসন সংখ্যা ৪৩০।
সদস্য পদ
বাংলা-দেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলা-দেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। এছাড়া অপ্রকৃতিস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব এক্ষেত্রে প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
সদস্যরা তাদের নিজ নিজ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকাংশের ভোটে নির্বাচিত হন। সদস্যগণ ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। তারা নিরপেক্ষ বা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অধিভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
আরও দেখুনঃ