মেহের আফরোজ চুমকি (জন্ম: ১ নভেম্বর ১৯৫৯) বাংলাদেশের একজন নারী রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি ২০১৩ সালে থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নারী মন্ত্রীদের চেয়ারম্যান-এর দায়িত্বও পালন করছেন।
Table of Contents
মেহের আফরোজ চুমকি । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রারম্ভিক জীবন
চুমকি ১৯৫৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ময়েজ উদ্দিন ও মাতা বিলকিস। ময়েজ উদ্দিনের পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। চুমকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
চুমকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালনসহ গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৬-২০০১ সালে তিনি প্রথমে গাজীপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে এবং পরবর্তীতে গাজীপুর-৫ আসন থেকে ২০০৯-২০১৩ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে সরাসরি ভোটে সংসদ- সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তিনি গাজীপুর-৫ আসন থেকে সংসদ -সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি কমনওয়েলথ উইমেন এ্যাফেয়ার্স মিনিস্টারদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বর্তমানে নারী ও শিশু উন্নয়নে জাতীয় কমিটির সদস্য, অল পার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপের চেয়ারম্যান (ওয়াটার, সেনিটেশন ও হাইজিন) এবং জাতীয় এইডস কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি নবম পার্লামেন্টের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ফ্যামিলি প্লানিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভানেত্রী ছিলেন।

সংসদ -সদস্য
সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ- সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ- সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ -সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ- সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণত সংসদ -সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ -সদস্য হন।
সংসদ -সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ -সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ