মোঃ আমিরুল ইসলাম কামাল বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন নোয়াখালী-১৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
Table of Contents
মোঃ আমিরুল ইসলাম কামাল । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
আমিরুল ইসলাম কামাল নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
আমিরুল ইসলাম কামাল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদিয়ে ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন নোয়াখালী-১৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন নোয়াখালী-১৪ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি প্রথমে মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী ও পরে ত্রাণ ও পনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সংসদ -সদস্য
সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ- সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ- সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ -সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও দেখুনঃ