মোঃ আলী আশরাফ (১৭ নভেম্বর ১৯৪৭—৩০ জুলাই ২০২১) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ যিনি তৎকালীন কুমিল্লা-১১ ও কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
Table of Contents
মোঃ আলী আশরাফ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
আলী আশরাফ ১৭ নভেম্বর ১৯৪৭ সালে কুমিল্লার চান্দিনার গল্লাই গ্রামের মুন্সি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. ইসমাইল হোসেন। তার ৪ মেয়ে ও একমাত্র ছেলে এফবিসিসিআই পরিচালক ও চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং অর্থনীতিতে এমএ পাশ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
আলী আশরাফ ১৯৬২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্র লীগে যোগদান করে রাজনীতিতে পা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালের পাকিস্থান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ছিলেন।
১৯৭৩ সালের প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের তিনি তৎকালীন কুমিল্লা-১১ আসন থেকে আওয়ামী লীগে প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম এবং ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগে প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে সাবেক স্পিকার হুময়ুর রশীদ মৃত্যুর পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ডেপুটি স্পিকার থেকে স্পিকারের দায়িত্বে গ্রহনের পর তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মৃত্যু
মো. আলী আশরাফ ৩০ জুলাই ২০২১ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সংসদ -সদস্য
সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ- সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ -সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ- সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও দেখুনঃ