মোঃ ছহিউদ্দিন (১৯২৩-২১ মার্চ ১৯৯০) বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি তৎকালীন কুষ্টিয়া-৫ ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
Table of Contents
মোঃ ছহিউদ্দিন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
মোহাম্মদ সহিউদ্দিন ১৯২৩ সালে তৎকালীন নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার তেহট্ট থানার অন্তর্গত লালবাজার এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ ইয়াকুব বিশ্বাস ও মাতা মোছাঃ সামছুন নেছা। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার ভি.জে হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে রাজশাহী গভর্মেন্ট কলেজে ভর্তি হন। তার ছেলে ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

রাজনৈতিক জীবন
সহিউদ্দিন মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি মেহেরপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি ছয়দফা আন্দোলনে ভুমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বাকশাল সরকারে মেহেরপুরের গভর্নর ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন কুষ্টিয়া-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধীদলের হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও দেখুনঃ