মোঃ শামসুল হক (২৯ জানুয়ারী ১৯৩০–২৭ মে ২০০৫) বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার একজন রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ ও ময়মনসিংহ-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০২১ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়।
Table of Contents
মোঃ শামসুল হক । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
মোঃ শামসুল হক ১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারী তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার পুত্র শরীফ আহমেদ বর্তমানে এই আসনটির সংসদ -সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
ভাষা আন্দোলন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ এর উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এসময় ৬ মাস কারাগারে কাটান। ময়মনসিংহ শহরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন
শামসুল হক ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭০ সালের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৫ আসন থেকে সংসদ -সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ- সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে পাট মন্ত্রনালয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন।
পরিবার
তার মৃত্যুর পর তার পুত্র শরীফ আহমেদ ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ -সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রীসভায় শরীফ আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থাপনা
তার কীর্তিকে স্মরণ করে ময়মনসিংহ শহরের টাউন হল সংলগ্ন ভাষা সৈনিক শামসুল হক মঞ্চ করা হয়েছে।
আরও দেখুনঃ-