মোকাব্বির খান (জন্ম: ২৩ মার্চ ১৯৬১) একজন বাংলাদেশি -রাজনীতিবিদ যিনি সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সহজ-সরল মোকাব্বির খান একাদশ জাতীয় সংসদে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন সব সময়। ড.কামাল হোসেনের আস্থাভাজন হয়ে ২০২১ সালে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে খুবই অল্প দিনে তার নির্বাচনী এলাকার দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরেন।
Table of Contents
মোকাব্বির খান । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
প্রারম্ভিক জীবন
মোকাব্বির খান ২৩ মার্চ ১৯৬১ সালে সিলেটের বালাগঞ্জের বর্তমান ওসমানীনগর উপজেলার চান্দাইর পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ফিরোজ খান ও মাতা মহিবুন নেছা খাতুন।
রাজনৈতিক জীবন
মোকাব্বির -খান ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের মনোনয়নে উদীয়মান সূর্য্য প্রতীকে তিনি জাতীয় পার্টির ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে পরাজিত করে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনিই গণফোরামের নির্বাচিত প্রথম সংসদ সদস্য।
গনফোরাম নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হিসেবে জোটগতভাবে নির্বাচন করে এবং ঐক্যফ্রন্ট থেকে এ আসনের নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে মোকাব্বির খান ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী লুনাকে সমর্থন দিয়ে লন্ডনে তার কর্মস্থলে চলে যান। কিন্তু নির্বাচনকালীন প্রচারণা চলার সময় লুনার প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ফলে ঐক্যফ্রন্ট মোকাব্বিরকে সমর্থন দেয়। তিনি বর্তমানে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংসদের লাইব্রেরি কমিটির সদস্য।

সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও দেখুনঃ