মোজাহার হুসেন (আনু. ১৯৪৫ ৩ অক্টোবর ২০১৬) বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার রাজনীতিবিদ যিনি পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
Table of Contents
মোজাহার হোসেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মোজাহার হোসেন আনু. ১৯৪৫ সালে পঞ্চগড়ের বোদার চন্দনবাড়ির প্রধানপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী নাদিরা হোসেন গৃহিনী। একমাত্র ছেলে মাহমুদ হাসান সুমন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে মুন্না আমেরিকা প্রবাসী ও ছোট মেয়ে গৌরি কানাডা প্রবাসী।
রাজনৈতিক জীবন
মোজাহার হোসেন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-২ আসন থেকে সংসদ -সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-২ আসন থেকে সংসদ- সদস্য নির্বাচিত হন।

মৃত্যু
৩ অক্টোবর ২০১৬ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সংসদ -সদস্য
সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ- সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ -সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ -সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ -সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।
কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ -সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ -সদস্য হন।
আরও দেখুনঃ