মোতাহার উদ্দিন (২৪ আগস্ট ১৯৩৫ – ১০ জানুয়ারী ১৯৭৪) যিনি মোতাহার উদ্দিন মাস্টার নামে পরিচিত। বাংলাদেশের ভোলা জেলার রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৩ (বরিশাল-৩) আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন।
Table of Contents
মোতাহার উদ্দিন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মোতাহার-উদ্দিন ২৪ আগস্ট ১৯৩৫ সালে ভোলার লালমোহনের হাওলাদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী সুলতান আহমেদ মাদ্রাসার শিক্ষক ও মাতা আছিয়া খাতুন গৃহিণী ছিলেন। ছয় বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম। তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে।
তজুমদ্দিন চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে ভোলা সরকারী স্কুল থেকে ১৯৫০ সালে মাধ্যমিক পাস করে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে প্রথম বিভাগে এইচএসসি ও ঢাকা থেকে বিএ এবং বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন
মোতাহার -উদ্দিন ১৯৬২ সালে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হয়ে একই বছরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হণ। ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৩ (বরিশাল-৩) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মৃত্যু
মোতাহার উদ্দিন ১০ জানুয়ারী ১৯৭৪ সালে ভোলার লালমোহনের গজারিয়া বাজারে আততায়ীর গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন।
সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।
কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
আরও দেখুনঃ-