মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (জন্ম: ১৩ জুন ১৯৭২) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও ধারাবাহিকভাবে তিনবার সুনামগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।
Table of Contents
মোয়াজ্জেম হোসেন রতন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
রতন ১৯৭২ সালের ১৩ জুলাই সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রকৌশল বিষয়ে লেখাপড়া করেন।
কর্মজীবন
রতন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে, নির্বাচনের প্রচারের সময় তার উপর হামলা হয়েছিল এবং তার গাড়িটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভাঙচুর করেছিল। তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।
সমালোচনা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে ঢাকায় ক্যাসিনোকাণ্ডে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তার নাম আসায় রতনসহ অন্তত ১০০ জনের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্য এ অনুসন্ধান দলে ছিলেন। পরে এ অনুসন্ধান দলের সুপারিশে রতনকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখাকে দুদক অুনসন্ধান টিম ২৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে চিঠি প্রেরণ করে। পরবর্তীতে যথাযথ নিয়মে নিষেদাজ্ঞা রহিত হবার পর তিনি গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সন্ধ্যা ০৬.৩০ ঘটিকায় পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করে ও কার্যশেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

সংসদ -সদস্য
সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ -সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ -সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ -সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ- সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণত সংসদ -সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ -সদস্য হন।
আরও দেখুনঃ