মোহাম্মদ ফজলুল করিম (২ মার্চ ১৯২৭-৯ জানুয়ারি ২০১৫) বাংলাদেশের আইনজীবী, রাজীতিবিদ ও সাবেক সাংসদ। তিনি ১৯৭০ সালের ও ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
Table of Contents
মোহাম্মদ ফজলুল করিম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২ মার্চ ১৯২৭ সালে তৎকালীন বৃহত্তর দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কানিকশালগাঁও গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা নইমউদ্দীন আহাম্মদ ও মাতা সতিজান নেসা।
১৯৪৬ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে ১৯৫০ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলেও পড়ালেখা শেষ না করে ঠাকুরগাঁওয়ে ফিরে রাজনীতিতে জড়িয়ে যান।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
ফজলুল করিম ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি ১৯৫২ সালের বাংলাভাষা আন্দোলনে সত্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত অখণ্ড দিনাজপুর-৩ (বর্তমান ঠাকুরগাঁও-১) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ঠাকুরগাঁও এলাকার মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অখণ্ড দিনাজপুর জেলা গভর্নর নিযুক্ত হন।

মৃত্যু
মোহাম্মদ ফজলুল করিম ৯ জানুয়ারি ২০১৫ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
আরও দেখুনঃ