রমেশ চন্দ্র সেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

রমেশ চন্দ্র সেন (৩০ এপ্রিল, ১৯৪০) বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রমেশ চন্দ্র সেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

রমেশ চন্দ্র সেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রমেশ চন্দ্র সেন বাংলা ১৩৪৭ সালের ২ বৈশাখ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ক্ষিতীন্দ্র মোহন সেন এবং মাতার নাম বালাশ্বরী সেন। তিনি ১৯৬৩ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বি,কম পাশ করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কস্ট একাউন্টিং বিষয়ে ১৯৬৪ সালে এম,কম (প্রথম পর্ব) অধ্যায়ন করেন।

কর্মজীবন

তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। ৬০’র দশকে রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার সময় থেকেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

১৯৬৯ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ১৯৯০ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবধি ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি সরকারের কেবিনেট সদস্য এবং একই সাথে তিনি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) এর নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

সংসদ সদস্য

তিনি ১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। উপনির্বাচনটি হয়েছিল উক্ত আসনের সাংসদ খাদেমুল ইসলাম ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করার কারণে। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালে ৩য় বার এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪র্থ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।

পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম “আওয়ামী লীগ” করা হয়।

ইতিহাস

 

রমেশ চন্দ্র সেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রতিষ্ঠা

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক।

পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে ঢাকা ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের উদ্যোগের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়।

শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment