রাইড শেয়ারিং এ্যাপ্লিকেশন থাকতেও চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। উবার, পাঠাও , ইনড্রাইভ, ওভাই’এর মত রাইড শেয়ারগুলোর কাছে ইচ্ছেমতো ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে যাত্রীরা। চালকরা খ্যাপে ভাড়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করছে। খ্যাপে ভাড়া আদায়ে চালকদের রয়েছে বিস্তর যুক্তি। এ্যাপ্লিকেশন এ ঠিক ভাড়া আসে না, এ্যাপ্লিকেশনের ভাড়ায় সংসার চলে না, ভিন্ন এ্যাপ্লিকেশনে ভিন্ন ভিন্ন রকমের ভাড়া দেখায়। ইত্যাদি সহ আরও নানা রকমের যুক্তি।
রাইড শেয়ারিং এ্যাপ্লিকেশন থাকতেও চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে
চালকরা জানান, কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছা মতো মোট ভাড়ার উপর কমিশন কেটে রাখে। একজন চালক জানান, উবার আগে ২৫ শতাংশ কমিশন কেটে রাখতো যা এখন কমিয়ে ১২ শতাংশে নেমেছে। পাঠাও মোট ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ কমিশন কেটে রাখে।
আরেকজন চালক জানান, সাধারণত পেমেন্ট সিস্টেম দু’ভাবে করা যায়। প্রথমতো ক্যাশ পেমেন্ট বা ডিজিটাল পেমেন্ট। পেমেন্ট যদি ডিজিটাল হয় তাহলে শুরু হয় ভোগান্তির নতুন মোড়। কোম্পানিগুলো তা দিতে দেরী করে অথবা তা পরবর্তী পেমেন্টের সাথে সংযুক্ত করে আরও সময় নেয় পেমেন্ট ক্লিয়ার করতে। তাই যারা এপ্লিকেশনে ভাড়ায় গাড়ি চালায় তারা আগে জানতে চায় যে পেমেন্ট কি ডিজিটাল নাকি ক্যাশ।
খ্যাপে ভাড়ার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে পুরো টাকাই তাদের থেকে যাচ্ছে এবং তারা তাদের মনের ইচ্ছে মতো ভাড়া নিতে পারছে। সেবা গ্রহীতারা এক প্রকার বাধ্যই বলা যায় তাদেরকে এটাকা দিতে। তবে ইনড্রাইভ নামে যে নতুন এ্যাপ্লিকেশন রয়েছে তারা চালকের সুবিধায় কমিশন একরকম ফ্রি করে দিয়েছে। এবং তাদের ভাড়াও নাকি নেগোসিয়েবল।

চালকদের অভিযোগ কোম্পানির উপরের যে কর্মকর্তারা যে ভাড়া নির্ধারণ করে তারা আসলে রাস্তায় না নেমেই ভাড়া নির্ধারণ করে। সবার জন্য এক ভাড়া থাকতে হবে প্রতি কি.মি.। যেমন উত্তরা থেকে রামপুরা আসতে উবারে ভাড়া আসে ২৪০ টাকা। একই গন্তব্যে পাঠাও এর ভাড়া আসে ২৮০ টাকা। ভাড়ার পরিমানে এ পার্থক্য থেকে শুরু হয় বিপত্তি।
একে কি ভাড়ার নৈরাজ্য বলবো নাকি স্বেছাচারিতা বলবো? সেবার নামে কবে বন্ধ হবে এই সব। তারা অনেকেই আবার নিজ নিজ উদ্যোগে কি.মিটার প্রতি নিজের ইচ্ছামতো ভাড়াও নির্ধারণ করে বসে আছে। ভাড়ার এই বিস্তর পার্থক্যের জন্যে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চালকদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন অহরহ বিতর্কে।