রাশিয়ার যুদ্ধ : ইউক্রেনে ৬৪টি দেশের ভাড়াটে-যোদ্ধা, ২,০০০ নিহত, ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে ৬৪টি ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে আসা ভাড়াটে-যোদ্ধা ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার বিদেশি ভাড়াটে-যোদ্ধা যুদ্ধে নিহত গিয়েছেন । গতকাল শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কভ এ দাবি করেন। খবর তাস ও আনাদলু এজেন্সির।
ইগর কোনাশেঙ্কভ বলেন, সেনাদের ১ হাজার ৯৫৬ জন ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন। ১ হাজার ৭৭৯ জন ইউক্রেন ছেড়ে গেছেন। এখন ৩ হাজার ২২১ জন ভাড়াটে-যোদ্ধা জীবিত আছেন ।
ইগর কোনাশেঙ্কভ বলেন, ‘১৭ জুন নাগাদ ৬৪টি দেশ থেকে আসা ভাড়াটে-যোদ্ধা ও অস্ত্র পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের তালিকা আমাদের কাছে আছে। বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে এ ধরনের ৬ হাজার ৯৫৬ জন সেনা পৌঁছেছেন।’
রাশিয়ার যুদ্ধ : ইউক্রেনে ৬৪টি দেশের ভাড়াটে-যোদ্ধা, ২,০০০ নিহত
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আনাদলু এজেন্সি বলেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভাড়াটে-যোদ্ধা প্রেরণ ও নিহত ব্যক্তির সংখ্যায় ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে পোল্যান্ড । সে দেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৩১ জন পোলিশ যোদ্ধা ইউক্রেনে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭৮ জন আর ২৭২ জন দেশে ফিরে গেছেন।

ইউক্রেনে ভাড়াটে-যোদ্ধা প্রেরণে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রোমানিয়া। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে রোমানিয়ান ভাড়াটে-যোদ্ধা ৫০৪ জন যোগ দিয়েছেন। তাঁদের ১০২ জন নিহত হয়েছেন আর দেশে ফিরেছেন ৯৮ জন।
ভাড়াটে-যোদ্ধা পাঠিয়ে ( ৪২২ জন ) তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। তাঁদের ১০১ জন মারা গেছেন আর ইউক্রেন ছেড়েছেন ৯৫ জন।
মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চল ও এশিয়া থেকেও ভাড়াটে যোদ্ধা গেছেন। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি জর্জিয়া থেকে ৩৫৫ জন ভাড়াটে যোদ্ধা ইউক্রেনে যান। তাঁদের ১২০ জন নিহত হয়েছেন আর ৯০ জন ইউক্রেন ছেড়েছেন।
কোনাশেঙ্কভ বলেন, সিরিয়ার ইউফ্রেতিসের যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ২০০ জনকে পাঠানো হয়েছে। গতকাল নাগাদ তাঁদের ৮০ জন নিহত হয়েছেন আর ৬৬ জন ইউক্রেন ছেড়েছেন।
উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে প্রধান ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী হিসেবে রয়েছে কানাডা। ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির ৬০১ জন নাগরিক ইউক্রেনে প্রবেশে করেছেন। তাঁদের ১৬২ জন নিহত হয়েছেন আর ১৬৯ জন ইউক্রেন ছেড়েছেন।
এই অঞ্চল থেকে ভাড়াটে যোদ্ধা প্রেরণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থেকে ৫৩০ জন ইউক্রেনে এসেছেন। তাঁদের ২১৪ জন নিহত হয়েছেন আর ২২৭ জন ইউক্রেন ছেড়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর পর থেকে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের দেশগুলো।
আরও দেখুনঃ
- নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের
- অ্যাপ ভিত্তিক জেনারেটর সার্ভিস নিয়ে এলো এ সি আই মটরস্
- বিএনপি সহিংসতা আগুন সন্ত্রাস শুরু করলে রাজপথে মোকাবেলা করা হবে : ওবায়দুল কাদের
- রাজনীতি থেকে বিএনপির বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে : ওবায়দুল কাদের
- গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা ফটো গ্যালারি নতুন প্রজন্মকে অজানা অধ্যয় জানাচ্ছে