রাশেদা বেগম হীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন রাজনীতিবিদ। তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৩৩৯ নং আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি এই সংরক্ষিত আসনে পর্যায়ক্রমে ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হন।
Table of Contents
রাশেদা বেগম হীরা । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও জীবন
রাশেদা বেগম হীরার পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলায় সদর উপজেলার আলগী গ্রামে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
তিনি ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও ১৯৯০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময় ১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা হন।
কর্মজীবন
রাশেদা বেগম হীরা একজন রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, অঙ্ফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ভিএসও। তিনি ভিএসওতে জেন্ডার বিশেষজ্ঞ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবন
তিনি বিএনপি-এর মনোনিত চাঁদপুর-৪ আসনের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচিত পরপর দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের চট্টগ্রামবিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চাঁদপুর জেলা শাখার সভানেত্রী।
মূলত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার হলের ভি.পি. ও জি.এস. পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ছাত্রনেত্রী হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে রাষ্ট্রীয় সফরে নেপাল ভ্রমণ করেন এবং মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি হিজবুল বাহার সফর ও বঙ্গভবনে আমন্ত্রিত হন।
রাজনৈতিক কর্মসূচি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন।
বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন।
জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল।
২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও দেখুনঃ