রুমিন ফারহানা হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৮ মে “সংসদ সদস্য” পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Table of Contents
রুমিন ফারহানা । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
রুমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অলি আহাদ বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষা সৈনিক। তার দাদা আবদুল ওহাব ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার ছিলেন। রুমিন হলিক্রস স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যের লিংকনস্ ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন
রুমিন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। ব্যারিস্টার হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে আইনি পেশায় কাজ করেন। ২৮ মে ২০১৯ বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ নং আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ঢাকার গোলাপবাগে আয়োজিত বিএনপির সম্মেলনে তিনি সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
কর্মজীবন
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি আইন ও রাজনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশী লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বিভাগের আইনজীবী। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।
পারিবারিক জীবন
রুমিন পরিবার থেকেই রাজনৈতিক দীক্ষা পান। তার পিতা অলি আহাদ ভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নায়ক। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। এ কারণে উনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান। অলি আহাদ তার জীবনের দীর্ঘ ১৯ বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। রাজনীতি করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। রুমিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন।
আরও দেখুনঃ