রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু (জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬২) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদস্য এবং সক্রিয় রাজনীতিবিদ। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি বাংলাদেশের উপ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সর্বদা তিনি বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) এর একজন সদস্য হিসাবে সক্রিয় ছিলেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে বিএনপির চলমান রাজনীতি নিয়ে তিনি ছোটখাটো ভূমিকা পালন করেন। পূর্বের কিছু মামলার জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

পরে ২০১৮সালের একাদশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিএনপি এই নেতার পক্ষে হাইকোর্ট রায় দেয়, এবং নির্বাচন কমিশনকে মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং প্রত্যাবর্তন কর্মকর্তাদের পূর্ববর্তী প্রত্যাখ্যান আদেশ স্থগিত করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বিএনপি এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮তে অংশগ্রহণ করা তার পক্ষে অনিশ্চিত হয়ে যায়। পরে তার বদলে নাটোর-২ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে উনার সহধর্মিণী সাবিনা ইয়াসমিন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করে এবং নির্বাচন প্রস্তুতি নেয়।

২০১২ সালেও তিনিসহ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, হান্নান শাহ এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রাজনৈতিক দাঙ্গার জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিছুদিন পরে তারা মুক্তি পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

 

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

 

অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment