আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট ম্যাপ তলব

আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট ম্যাপ তলব, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অবস্থিত আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট এরিয়াল ম্যাপ তলব করেছেন হাইকোর্ট।  আড়িয়াল বিল দখল বন্ধে জনস্বার্থে আনা রিট পিটিশনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।

আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট ম্যাপ তলব

 

আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট ম্যাপ তলব

 

বিলের প্রকৃত ম্যাপ দাখিলের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), শ্রীনগরের ইউএনও এবং পরিবেশের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরকে আড়িয়াল বিলে আর যেন মাটি ভরাট, নির্মাণ কাজ, দখল কার্যক্রম করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেছে আদালত।

রুলে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অবস্থিত বৃহৎ জলাশয় ‘আড়িয়াল বিল’ দখল করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও হাউজিং কোম্পানি কর্তৃক মাটি ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দেয়া হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দখল বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান। মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে অবস্থিত আড়িয়াল বিল দখলের বিষয়ে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর জনস্বার্থে গত ১৩ আগস্ট রিটটি দায়ের করেন মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মো. সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া এবং এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল।

রিটে আড়িয়াল বিল সংরক্ষণের নির্দেশনা এবং সব দখল, মাটি ভরাট, বালু ভরাট অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা শহরের বন্যা প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকা রাখে আড়িয়াল বিল। জলাশয় সংরক্ষণ আইন-২০০০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ পানি আইন-২০১৩ এর বিধান অনুসারে জলাশয় ভরাট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে জলাধার আইনের ৮ ধারায় ৫ বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়টি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

 

আড়িয়াল বিলের স্যাটেলাইট ম্যাপ তলব

 

রিটের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীনগর, অফিসার ইনচার্জ শ্রীনগরসহ মোট ১০ জন রেসপনডেন্ট করা হয়েছে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment