গোলাম হাবিব দুলাল বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ, সাবেক আমলা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Table of Contents
গোলাম হাবিব দুলাল | বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
গোলাম হাবিব দুলাল ৩ আগস্ট ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত বদর উদ্দিন মণ্ডল। তিনি রাজশাহী, পেশওয়ার ও যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক গোলাম হাবিব দুলাল ২০০০ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারি, চর রাজিবপুর, চিলমারী) আসন থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেনের কাছে পরাজিত হন তিনি। আর ২০১৪ সালে নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে বাতিল করে হয়।
এর পর ৯ মার্চ ২০১৭ সালে জাপা থেকে পদত্যাগ করে তিনি বাংলাদেশ সততা পার্টি গঠন করেন। তিনি এই দলের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারি, চর রাজিবপুর, চিলমারী) আসন থেকে সিংহ মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সততা পার্টি থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ সত্যবাদী দল নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

সংসদ সদস্য:
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ