বেগম সুলতানা আহমেদ একজন বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদ, যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্ট্রং নেতৃত্বমণ্ডলীর অংশ ছিলেন এবং অষ্টম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের (আসন-২৬) নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ২০০৫ সালে বিএনপি-র মনোনীত সভাপতি ছিলেন তিনি, দলের নারীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি নারী অধিকার ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করেছেন।

তবে, ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী মামলা ও রিমান্ডে পড়েন। এই ঘটনায় ঢাকা সিটি ও বিএনপি নেতারা তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশেও অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
সাম্প্রতিক সময়েও তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সংকটজনক শাসন, গণতান্ত্রিক মর্যাদা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার ভঙ্গের ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকা-ঢামরাই অঞ্চলে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের পক্ষ থেকে সরকার প্রধানের বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন ।
বেগম সুলতানা আহমেদ দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী নারীদের একজন। সংসদ সদস্য, দলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক ও সরকার–বিরোধী ভূমিকার মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক ভাবে শক্ত অবস্থান রেখেছেন। যদিও মামলার কারণে কিছু সময় সংগ্রামে পড়তে হয়, তবুও তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও নেতৃত্বশৈলী তাকে BNP’র নারীদের মধ্যে একটি প্রতীকী স্থান দিয়েছে।