বেনজীর আহমদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

বেনজীর আহমদ হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার শাখার সভাপতি। তিনি ২০১৮ সালে ঢাকা-২০ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি একাধিকবার বায়রা এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বেনজীর আহমদ বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা।

বেনজীর আহমদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

বেনজীর আহমদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

বেনজীর আহমদ ১৯৫২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজিম উদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম মাজেদা আহমদ। তিনি এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আহমদ গ্রুপের (আহমদ এন্টারপ্রাইজ, আহমদ রিয়েল স্টেট ও আহমদ ইন্টারন্যাশনাল) স্বত্বাধীকারী। তিনি ২০১৬-২০১৮ এবং ২০১৮-২০২০ মেয়াদে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক জীবন

বেনজীর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম সংসদের মেয়াদে তিনি পিটিশন কমিটি ও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পরে মহাজোটের প্রার্থীতা পান। তিনি ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল মান্নানকে পরাজিত করেন।

 

বেনজীর আহমদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment