মকবুল হোসেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

মকবুল হোসেন (আনু. ১৯৫০-২৪ মে ২০২০) শিল্পপতি, আইনজীবী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ। তিনি ঢাকা-৯ আসন থেকে জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মকবুল হোসেন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মকবুল হোসেনআনু’ (১৯৫০২৪ মে ২০২০)

শিল্পপতি, আইনজীবী ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা।

 

জন্ম শিক্ষা

মকবুল হোসেন আনু আনুমানিক ১৯৫০ সালে বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে “এইচএসসি” সম্পন্ন করে ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. (সম্ভবত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা বাংলা) এবং পরবর্তীতে এল.এল.বি. ডিগ্রি লাভ করেন।

 

ছাত্ররাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ

ছাত্রজীবনে বিশিষ্ট ছিলেন—১৯৬৬ সালে তিনি জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৬৮-৭১ সালের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া, তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠকারী সভাপতি হিসেবেও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

 

রাজনৈতিক ক্যারিয়ার

১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন এবং এরপর আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদে একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

 

ব্যবসায়িক পেশাগত জীবন

আনুভাবে একজন সাফল্যশীল ব্যবসায়ী ও আইনজীবী ছিলেন। তিনি শমরিতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনিয়োগ এবং পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ছিলেন সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও এমিকো ল্যাবরেটরিজ, পান্না টেক্সটাইল ও মোনা ফিন্যান্সের মালিকও।

 

⚖️ দুর্নীতি অবৈধ সম্পদের মামলা

২০০৮ সালে এক বিশেষ জজ আদালত তাঁকে “অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পত্তির তথ্য গোপন” করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। আদালত তাঁর স্ত্রীকেও তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।

 

শেষ সময়

বহুমুখী কর্মজীবন ও রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে, মকবুল হোসেন আনু ২৪ মে ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

মকবুল হোসেন আনু ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী সমাজসেবায়ী; শিক্ষার্থী রাজনীতিবিদ থেকে হয়ে ওঠেন একজন জাতীয় নেতা। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্তরে ভূমিকা পালনসহ স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে খানিকটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতি মামলায় ২০০৮ সালের সাজা তাঁর বিতর্কিত রাজনৈতিক জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

Leave a Comment