মোঃ আতিউর রহমান আতিক হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তিনি শেরপুর-১ থেকে চারবারের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ -সদস্য ও ১০ম জাতীয় সংসদের হুইপ। তাছাড়া, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। সংবিধান অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ৩ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি শপথবাক্য পাঠ করেন।
Table of Contents
মোঃ আতিউর রহমান আতিক । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ
ব্যক্তিগত জীবন
আতিক ১ডিসেম্বর, ১৯৫৭সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মেয়ে শারমিন রহমান অমি একজন ডাক্তার।
শিক্ষা
তিনি বি.এ পাশ করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন
আতিউর রহমান আতিকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭৯ সালে কলেজ সংসদের ভিপি নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে। তিনি ১৯৮৮ সালে একবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৫জানুয়ারি, ২০১৪সালে শেরপুর-১ থেকে আতিক আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
২৫নভেম্বর, ২০১৮সালে টানা পঞ্চমবারের মতো শেরপুর-১ থেকে নৌকা প্রতীকে আতিক মনোনয়ন পান। তিনি জাতীয় সংসদের একজন হুইপ। ১৭ই এপ্রিল, ২০১৮সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুদক আতিককে তদন্ত করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে আতিউর রহমান আতিক (নৌকা) ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়েছেন।

সংসদ -সদস্য
সংসদ -সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ -সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ -সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ -সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ -সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ -সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ -সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ -সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ -সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
সাধারণত সংসদ -সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ -সদস্য হন।
সংসদ -সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ -সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ