মোরশেদ আলম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

মোরশেদ আলম (জন্ম: ২৯ মার্চ ১৯৫০) হলেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও শিল্পউদ্যোক্তা ব্যবসায়ী। তিনি নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

মোরশেদ আলম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মোরশেদ আলম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

মোরশেদ আলম ১৯৫০ সালের ২৯ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইদ্রিছ মিয়া এবং মাতা তাহেরা বেগম।

কর্মজীবন

তিনি বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ও আরটিভির চেয়ারম্যান। তিনি রফতানিমুখী প্লাস্টিক, গার্মেন্টস, ক্যামিকেল, ফুড প্রসেসিং শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত। তিনি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ও বেঙ্গল ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি নোয়াখালীর বানিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান।

রাজনৈতিক জীবন

মোরশেদ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

মোরশেদ আলম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment