রফিকুল ইসলাম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধা যিনি যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

রফিকুল ইসলাম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

রফিকুল ইসলাম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

রফিকুল ইসলাম যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী নুরুন্নাহার লিলি।

রাজনৈতিক জীবন

অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেও তিনি পরাজিত হন।

তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে যশোর-২ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ও ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন তিনি।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।

পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম “আওয়ামী লীগ” করা হয়।

ইতিহাস

 

রফিকুল ইসলাম । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রতিষ্ঠা

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক।

পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে ঢাকা ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের উদ্যোগের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়।

শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment