কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে : মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে : মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ।কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ হতে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট কামরুল সরণি’ এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে অপরিকল্পিত নগরায়ন হয়েছে। ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য ও পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তর করার যে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সে প্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে : মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশে আমরা দেখি, একটি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক বা ফিনান্সিয়াল হাব থাকে। সেভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’ 

তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন করা হয়েছে। আদি বুড়িগঙ্গা তার রূপ আবার ফিরে পাচ্ছে। এর পাশ দিয়েই নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এই লোহারপুল সেতুর জায়গায় ছয় সারি বিশিষ্ট একটা আধুনিক সেতু নির্মাণ করা হবে। এর উত্তরদিকে যে এলাকা রয়েছে সেখানে আধুনিক মানের একটি ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, ৫০তলা বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। আর দক্ষিণ দিকে সুন্দরভাবে আবাসন গড়ে উঠবে। এছাড়াও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় দিয়ে নিজামবাগ থেকে ঝাউচর পর্যন্ত আরও ৪ সারি সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে : মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

এ সময় কামরাঙ্গীরচর-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে পূর্ণ পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে- মেয়র বলেন, এখানে যে সকল সরকারি জমি রয়েছে সেগুলো অবশ্যই দখলমুক্ত করা হবে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন যে সকল জমির প্রয়োজন হবে, তার ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। কেউ বঞ্চিত হবে না।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার আধুনিক প্রাণকেন্দ্র হবে কামরাঙ্গীরচর। দুই পাশে নদী পরিবেষ্টিত এই ধরনের নান্দনিক পরিবেশ শুধু ঢাকা শহরই নয়, সারা বাংলাদেশেও পাওয়া যাবে না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতাকে যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, এই অর্জনগুলোকে যাতে রক্ষা করতে পারি, কোনো হায়েনার দল যেন এই অর্জনগুলোকে নষ্ট করতে না পারে- সেজন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সবাই শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

পরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সিদ্দিক বাজার আধুনিক নগর বিপনী বিতানের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

কামরাঙ্গীরচরকে আধুনিক ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে : মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

 

উল্লেখ্য, ঢাদসিক’র নিজস্ব অর্থায়নে এই সড়কটি নির্মাণ করা হবে। ২ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৪ ফুট গড় প্রশস্ততার এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নূরে আলম, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ ও সংরক্ষিত আসনের শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment