ভাড়া বৃদ্ধির বিতর্কে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মন্ত্রীর পদত্যাগ

যুক্তরাজ্যের গৃহহীনবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছেন। তার মালিকানাধীন একটি আবাসনের ভাড়া হঠাৎ করে ৭০০ পাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

রুশনারা আলী যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য। তার পদত্যাগের বিষয়টি বৃহস্পতিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে ডাউনিং স্ট্রিট। খবরটি প্রথম প্রকাশ করে বিবিসি।

পদত্যাগপত্রে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে রুশনারা জানান, তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি সবসময় আইনের সীমার মধ্যে থেকেই দায়িত্ব পালন করেছেন, তবে বিষয়টি নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা তার দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনে সরকারকে বিঘ্নিত করতে পারে – এই উপলব্ধি থেকেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী স্টারমার রুশনারার অবদানের প্রশংসা করে এক বিবৃতিতে বলেন, বিশেষত ‘ভ্যাগ্রান্সি অ্যাক্ট’ বাতিলের চেষ্টায় তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রুশনারা ভবিষ্যতেও সরকারকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাবেন এবং বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসনের জনগণের পাশে থাকবেন।

২০১০ সাল থেকে বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন রুশনারা। ২০২4 সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে পুনরায় জয়লাভ করে তিনি পঞ্চমবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।

এটি প্রথমবার নয় যে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনও লেবার পার্টি এমপি বিতর্কে জড়ানোর পর পদত্যাগ করলেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি টিউলিপ সিদ্দিকও তার মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছিলেন। বাংলাদেশে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ানো নিয়ে বিতর্ক উঠলে, তিনি স্বেচ্ছায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ, হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত এমপি ছিলেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (ডাউনিং স্ট্রিট)