অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুর রহমান চৌধুরী বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী একজন রাজনীতিবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি দু’বার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৬ আসন থেকে বিজয়ী হন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ ছিলেন।
Table of Contents
আজিজুর রহমান চৌধুরী | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
প্রাথমিক জীবন
আজিজুর রহমান-চৌধুরী ১৯৪৬ সালে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার প্রফেসরপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন বিজুল দারুল হুদা কামিল স্নাতকোত্তর মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
আজিজুর-রহমান চৌধুরী ১৯৯১ সালে দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলা) আসন থেকে প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর নিকট পরাজিত হন। ২০০১ সালে তিনি চার দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অসুস্থতা ও মৃত্যু
অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুর রহমান-চৌধুরী ক্যান্সার, জন্ডিস ও পিত্তথলীতে সমস্যাসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন। অসুস্থ অবস্থায় বিরামপুরের নিজ বাসভবনে ২০১১ সালের ৩০ মে মৃত্যুবরণ করেন। তার কর্মস্থল বিজুল দারুল হুদা কামিল স্নাতকোত্তর মাদরাসা প্রাঙ্গণে জানাযা শেষে বিরামপুর শহরের নিকটবর্তী বিজুল গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ