ফজিলাতুন নেসা । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

ফজিলাতুন নেসা হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

ফজিলাতুন নেসা । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

ফজিলাতুন নেসা । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি

ফজিলাতুন -নেসা ইন্দিরা মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মুখ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন।

শিক্ষাজীবন

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং রাস্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল ডেমোগ্রাফি বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পপুলেশন স্টাটিসটিকস বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী অর্জন করেন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

ইন্দিরা ছাত্র জীবন থকেই রাজনীতি শুরু করেন। তিনি দুই বার বাংলাদেশ ছাত্র লীগ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দুই মেয়াদে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইডেন কলেজের ছাত্রী সংসদের ১৯৭৩-১৯৭৪ মেয়াদে নির্বাচিত জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সংক্ষরিত মহিলা আসন ৪৬ এর এক বার ও ২২ এর দুই বারের সংসদ সদস্য। এ ছাড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

ফজিলাতুন নেসা । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন। সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment