মুস্তফা লুৎফুল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

মুস্তফা লুৎফুল্লাহ (জন্মঃ ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬১) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সদস্য। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তার নির্বাচনী এলাকা সাতক্ষীরা-১ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।

মুস্তফা লুৎফুল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মুস্তফা লুৎফুল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

প্রাথমিক জীবন

মুস্তফা -লুৎফুল্লাহ ১৯৬১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। মুস্তফা -লুৎফুল্লাহ এল.এল.বি ডিগ্রীপ্রাপ্ত ব্যক্তি।

কর্মজীবন

পেশাগত জীবনে মুস্তফা -লুৎফুল্লাহ একজন আইনজীবী।

রাজনৈতিক জীবন

মুস্তফা -লুৎফুল্লাহ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন। তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর একজন সদস্য। দলের মনোনয়ন নিয়ে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং সাংসদ নির্বাচিত হন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মুস্তফা -লুৎফুল্লাহ সাতক্ষীরা-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হন। এটি সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১০৫নং আসন। আসনটি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা আর তালা উপজেল নিয়ে গঠিত। উক্ত নির্বাচনে হামুস্তফা -লুৎফুল্লাহর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান।

নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছিলো ১১৫৮১৩টি। এর মধ্যে ৯২,২০০ ভোট পেয়ে হাফিজুর রহমান সাংসদ নির্বাচিত হন, যা মোট ভোটের ৭৯.৬% ছিলো। স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান পেয়েছিলেন ২৩,৬১৩ ভোট।

পরিবার

মুস্তফা -লুৎফুল্লাহর স্ত্রীর নাম নাসরীন খান লিপি। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তাদের বড় ছেলে অনিক আজিজ ন্যাম ভবনের আত্মহত্যা করে মারা যায়। সে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেক্ট্রিক্যালে বিএসসি পাশ করে ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি করছিলো। মুস্তফা -লুৎফুল্লাহর মেয়ের নাম অদিতি আদৃতা সৃষ্টি।

 

মুস্তফা লুৎফুল্লাহ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। সাম্যবাদী ভাবধারার এই দলটি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ এবং অন্য একটি গ্রুপ থেকে ১৯৮০ সালে গঠিত হয়। অমল সেন ছিলেন এটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব।

১৯৮৪ সালে এই দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয় এবং দুই পক্ষই একই নাম ব্যবহার করতে থাকে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন অমল সেন এবং অন্য গ্রুপের নজরুল ইসলাম। বর্তমান সভাপতি রাশেদ খান মেনন অন্য একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৯২ সালে দলটি পুনরায় একত্রিত হয়। এই দলটি বর্তমান ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় মহাজোটের একটি অংশ।

আরো দেখুন:

Leave a Comment